শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি:, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবশেষে দখলমুক্ত করা হয়েছে পৌরশহরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বড় পাইকারী মাছ বাজারটি। নিজেদের রেকর্ডীয় জমি দাবী করে টিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু দীর্ঘদিন ধরে এ মাছ বাজারটি থেকে ভিটি ভাড়ার নামে প্রতিদিন ৫-১০ হাজার টাকা করে আদায় করতো। যার কিছু অংশ চৌরাস্তা বাসষ্ট্যান্ড জামে মসিজদ পেলেও সরকার এ বাজার থেকে কোন রাজস্ব পায়নি। উপজেলা প্রশাসন এ পাইকারী মাছ বাজারটি দখলমুক্ত ঘোষনা করে বাজার থেকে আদায়কৃত অর্থ রাজস্ব খাতে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে খুশী স্থানীয় সাধারন মানুষ সহ খুচরা, পাইকারী মাছ বিক্রেতারা। তারা ইউএনও’র এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন জানাগেছে, কলাপাড়া-পটুয়াখালী মহাসড়কের পশ্চিম পার্শে অবস্থিত এ বড় পাইকারী মাছ বাজারে ২৫/৩০টি মাছের আড়ৎ রয়েছে। প্রতিদিন এ বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ নিলামে ক্রয়, বিক্রয় হয়ে থাকে। শতকরা ৫ টাকা হারে ক্রেতা, বিক্রেতা উভয় পক্ষের কাছ থেকে খাজনার নামে টাকা উত্তোলন করা হতো। এছাড়া চট প্রতি ২০০ টাকা। এভাবে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টাকা আদায় করা হতো এ বাজার থেকে,। প্রতিমাসে এই বাজার প্রায় তিন লক্ষ টাকা আদায় হয়ে থাকে।
টিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু বলেন, ’চৌরাস্তা মাছ বাজারের ওই জমি আমাদের ক্রয়কৃত রেকর্ডীয় জমি। আমরা আইনী মোকাবেলার জন্য আদালতে যাবো।
টিয়াখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা বলেন, ’মাছ বাজারটি দখলমুক্ত হওয়ায় সাধারন জনগন খুশী। টিয়াখালী ইউনিয়নের জনসাধারনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, ’উপজেলা প্রশাসন এখন থেকে ওই মাছ বাজার থেকে রাজস্ব আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দেবে। এতে কেউ বিপত্তির চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ ইউএনও আরও বলেন,’বাজার ব্যক্তিগত কিংবা সরকারী জমি যেখানেই হোক না কেন রাজস্ব আদায় করার বৈধতা কেবল সরকারের। তবে সরকারের কাছ থেকে শর্ত সাপেক্ষে ইজারা নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে খাজনা আদায় করা যেতে পারে।
Leave a Reply